পুষ্টির মৌলিক ধারণা
পুষ্টি হল সঠিক খাবার এবং পুষ্টি উপাদান গ্রহণের প্রক্রিয়া যা শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। সুষম আহার খাওয়া শরীরকে শক্তি প্রদান করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পুষ্টি হল সঠিক খাবার এবং পুষ্টি উপাদান গ্রহণের প্রক্রিয়া যা শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। সুষম আহার খাওয়া শরীরকে শক্তি প্রদান করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কাজ: শরীরকে শক্তি যোগায়।
কোথায় পাওয়া যায়: চাল, গম, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি আলু, চিনি, গুড়।
কাজ: শরীরে কোষ এবং টিস্যু তৈরি ও মেরমত করে; মাংসপেশী, রক্ত, এনজাইম এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
কোথায় পাওয়া যায়: ছানা, দই, সোয়াবিন, ডাল, মাংস, মাছ, মেটে, ডিম।
কাজ: প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যোগায়। ভিটামিন এ, ডি, ই কে শরীরে শোষণ হতে সাহায্য করে।
কোথায় পাওয়া যায়: মাখন, ঘি, বনস্পতি তেল, তৈলবীজ।
কাজ: চোখ, চামড়া এবং মিউকাস মেমব্রেনকে সতেজ রাখা। কম আলোতে দেখতে সাহায্য করা।
কোথায় পাওয়া যায়: মাছের তেল, মেটে, দুধ, ঘি, হলুদ এবং লাল ফল, সবুজ শাক-সব্জি, গাজর, কুমড়ো, পাকা আম, পেঁপে।
কাজ: মাড়ি সুস্থ রাখতে, রোগ জীবাণু থেকে লড়ার ক্ষমতা প্রদান।
কোথায় পাওয়া যায়: আমলা, পেয়ারা, টকজাতীয় ফল, কাঁচা সব্জি ও ফল, পাতাযুক্ত শাকসব্জি, অঙ্কুরিত ডাল।
কাজ: ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট শোষণে সাহায্য করে। দাঁতের স্বাভাবিক গঠনে সাহায্য করে।
কোথায় পাওয়া যায়: সূর্যের আলো, ঘি, মাখন, ডিমের কুসুম।
কাজ: সাধারণ খিদে, হজমে, দৃষ্টিশক্তি সাহায্য এবং স্নায়ুর সুস্থতা। পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
কোথায় পাওয়া যায়: মেটে, ডিম, ডাল, বাদাম, শস্য জাতীয় খাবার, তৈলবীজ ইত্যাদি।
কাজ: থাইরয়েড গ্লান্ডের থাইরোক্সিন হরমোন তৈরি। লোহিতকণিকা তৈরি, মানসিক বিকাশ।
কোথায় পাওয়া যায়: কাঁকড়া ও সমুদ্রের খাবার, আয়োডিনযুক্ত লবণ।
কাজ: রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি ও বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন পৌঁছানো।
কোথায় পাওয়া যায়: ছোলা, গুড়, সবুজ শাক-সব্জি, খেজুর, ডাল/সয়াবিন, গম, মাংস।
পুষ্টির টিপ: সুষম খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত জল পান এবং নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য।